বাংলাদেশের জনসংখ্যানীতি

অষ্টম শ্রেণি (দাখিল) - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় - বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন | | NCTB BOOK

সাধারণভাবে একটি দেশের জনসংখ্যা বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য যে দিক নির্দেশনা হয় তাকেই বলা হয় দেশটির জনসংখ্যা নীতি। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নীতি প্রণয়ন করা হয়। এ নীতির লক্ষ্য হলো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে দেশের নাগরিকদের জীবনমানের উন্নতি এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের জনসংখ্যানীতির মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যগুলো হলো : 

১। দেশের সব মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেবা পৌঁছে দেওয়া। বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পরিবার পরিকল্পনার সুযোগ ও অত্যাবশ্যক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। 

২। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করা। 

৩। শিশু ও নারীর অপুষ্টির হার কমিয়ে আনা।

৪। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা। থানা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ডাক্তার, নার্স ও প্রয়োজনীয় ঔষধের সরবরাহ নিশ্চিত করা। প্রতিটি গ্রামে প্রসূতিদের নিরাপদ সন্তান জন্মদানের সুযোগ সৃষ্টি করা ।

৫। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে সর্বত্র ও সকলের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া। 

৬। দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা।

৭। দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

জনসংখ্যা সম্পর্কে বর্তমানে বাংলাদেশের স্লোগান হচ্ছে 'দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয় ।’ প্রতিবছর ২রা ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে 'জাতীয় জনসংখ্যা দিবস' পালন করা হয় ।

কাজ- ১ : আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জনসংখ্যানীতির ভূমিকা আলোচনা করো।

Content added || updated By
Promotion